সাবেক এমপি নদভীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

Just Now


চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দিন নদভীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় (আইআইইউসি) থেকে অন্তত ১০ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগে তাকে এ নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। নদভী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ছিলেন।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ নুরুল ইসলামের আদালতে এ আদেশ দেন।

দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক (ডিডি) নাজমুচ্ছায়াতের করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আইআইইউসির সাবেক চেয়ারম্যান আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীসহ অন্যদের বিরুদ্ধে সম্মানির নামে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগটি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আমাকে নিয়োগ করা হয়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার বর্ণিত পদের অপব্যবহার করে ও রাজনৈতিক পরিচয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ও বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে নদভীর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আবশ্যক।

বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করে দুদকের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, সাবেক এমপি নদভীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্তের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে অভিযুক্তের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিযুক্ত নদভীর বিরুদ্ধে সরকার পতনের পরবর্তীতে একাধিক মামলা হয়েছে এবং তিনি গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তিনি এসব মামলায় জামিন পেয়ে বিদেশ চলেও যেতে পারেন। এজন্য অনুসন্ধানের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই আবেদন করেছেন।

গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর রাতে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সাবেক এই সংসদ সদস্যকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নদভীকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে আনা হয়। পরদিন পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া থানার মোট পাঁচ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন আদালত।

এ ছাড়া, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) নগরের চার থানায় তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আরও পাঁচ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পৃথক চার আদালতে হাজির করে পুলিশ। বিচারকরা তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *